সালেহ্ বিপ্লব: [৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশে জোরালো উদ্যোগ নেবে- যাতে এই নতুন প্রজন্ম তাদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ভুলে না যায়। সূত্র: বাসস

[৪] মঙ্গলবার ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেমন আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে।

[৬] প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

[৭] তিনি বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতিকে আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক গড়ে তুলতে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে।

[৮] তিনি তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক চর্চা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমাদের প্রচার করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা জেলা ও উপজেলা পর্যায় ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে।

[৯] গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য একটি নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, তার সরকার আধুনিক প্রযুক্তিতে এটি নির্মাণের জন্য ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

[১০] তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ সরকার অনেক আগেই প্রকল্পটি অনুমোদন করা সত্ত্বেও তারা এখনও ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি।

[১১] প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের জন্মস্মৃতিবিজড়িত পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনকে এমনভাবে মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে এর নিজস্ব স্বকীয়তা পরিবর্তন না হয়।  

[১২] শেখ হাসিনা বলেন, নগর ভবনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়) যে ঢাকা গ্রন্থাগারটি রয়েছে, তা রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে।

[১৩] শিশু গ্রন্থাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, জাপানের সহযোগিতায় তাদের নিজস্ব নকশা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে এবং গ্রন্থাগারে ৬ হাজার জাপানি বই দেওয়া হবে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না